প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ দেশে একটি মানুষও দরিদ্র থাকবে না। জাতির পিতা আমাদের স্বাধীন দেশ দিয়ে গেছেন। আমরা সেই দেশকে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাচ্ছি। জাতির পিতা স্বপ্ন দেখেছিলেন— এ দেশে কোনো মানুষ ভিক্ষাবৃত্তি করবে না। আমরা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছি। মাঠ প্রশাসনকে এসব বিষয়ে ভূমিকা রাখতে হবে।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টার পর গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনদিনের ডিসি সম্মেলন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী ডিসিদের বলেন, সেবা নিতে এসে কোনো মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হন। শুদ্ধাচার বাস্তবায়নের পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধে সোচ্চার হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শহিদ পরিবার কিংবা মুক্তিযোদ্ধা পরিবার অথবা গণহত্যার শিকার পরিবার ভিক্ষা করে জীবন নির্বাহ করবে, তা আমি দেখতে চাই না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের যথাযথ ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর সরকারি চাকুরেদের সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের দায়িত্বও বেড়েছে।
জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দারিদ্র দূরীকরণ এবং তাদের স্বাবলম্বী করার জন্য আমাদের যে ব্যাপক পল্লী উন্নয়ন কাজ হাতে নিয়েছি, সেগুলোকে আমরা সব থেকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি। কারণ দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের তৃণমূলের মানুষের জীবনমান উন্নত করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা জেলা প্রশাসকবৃন্দ কাজ করেন মাঠ পর্যায়ে এবং প্রত্যেকটি জেলার দায়িত্ব আপনাদের।
তিনি বলেন, ওমিক্রন মোকাবিলায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি ও বিধিনিষেধ মানাতে জেলা প্রশাসনকে আরও কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে। সংক্রমণের হার যেন না বাড়ে সেজন্য জেলা প্রশাসকদের ব্যবস্থা নিতে হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।